ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা মদনের এ.ইউ.খান উচ্চ বিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ মদনে এক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি শূন্য

বড় বন্যার আতঙ্কে বাংলাদেশ, মারা গেছেন ২০ জন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৭
  • ২৪০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসনে চৌধুরী মায়া সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘‘এখন পর্যন্ত দেশের ২০টি জেলার ৫৬টি উপজেলা বন্যা কবলিত৷ বন্যায় সারাদেশে মারা গেছেন ২০ জন,  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৬ লাখ মানুষ৷ এছাড়াও উত্তরাঞ্চলরে বন্যার পানি মধ্যাঞ্চল দিয়ে প্রবাহতি হয়ে সাগরে নেমে যাবে৷ ফলে ঢাকার নিম্নাঞ্চলসহ আরও ৯টি জলোয় বন্যার আশঙ্কা আছে৷”

তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘১৯৮৮ সালরে চেয়ে বড় বন্যা হলেও মোকাবেলার প্রস্তুতি আছে সরকারের৷”

১৯৮৮ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বন্যায় বাংলাদেশের প্রায় ৮২,০০০ বর্গ কিমি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যা সমগ্র বাংলাদেশের ৬০ ভাগ এলকারও বেশি৷ ঐ বন্যায় রাজধানী ঢাকাও প্লাবিত হয়৷ সে সময় ঐ বন্যার স্থায়িত্ব ছিল ১৫ থেকে ২০ দিন৷

বন্যা পূর্বাভাষ কেন্দ্র সোমবার জানায়, ‘‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদী বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে সর্বোচ্চ পানি সমতল অতিক্রম করবে এবং চিলমারি পয়েন্টে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করবে৷”

বন্যা পূর্বাভাষ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, ‘‘দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর অববাহিকারবন্যা পরিস্থিতি অবনতিশীলথাকবে৷ব্রহ্মপুত্র-যমুনার বাংলাদেশ অংশে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধির হার ৪৭ সেমি৷ ফলে নুনখাওয়া, চিলমারি, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি এবং সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে সোমবার সকাল ৯টায় বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে৷” পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার ভিতরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভারত অংশে সর্বোচ্চ ২৫ সেমি পানি বৃদ্ধি পেলেও, বাংলাদেশ অংশে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৪৫ সেমি পযন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে৷’

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘পানি ওঠায় পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নেত্রকোনায় সহস্রাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে৷ নীলফামারীর সৈয়দপুর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুরের বদরগঞ্জে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে৷ মহাসড়কে পানি ওঠায় ঢাকা-দিনাজপুর সরাসরি পথে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে৷ এছাড়া লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে তিনটি পথে রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে৷ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উত্তরাঞ্চলে তিন প্লাটুন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷ তাঁরা উদ্ধার ও বাঁধ রক্ষার কাজ করছেন ৷ ১৫ তারিখের পরে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে’

বাংলা দৈনিক প্রথম আলোর খবরে আরো বলা হয়, ‘দ্য ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টসের (ইসিএমডব্লিউএফ) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে হিমালয়ের দক্ষিণাঞ্চলে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে৷ এতে করে ব্রহ্মপুত্রের ভারত ও বাংলাদেশ অংশে পানি বাড়বে৷’

এদিকে বন্যা কবলিত অনেক জেলার সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে৷ কুড়িগ্রামে ভেসে গেছে রেল সেতু৷ গত জুনের বন্যায় উত্তরের যেসব জেলা প্লাবিত হয়েছিল এবার সেই জেলা এরইমধ্যে আবারো বন্যার কবলে পড়েছে৷ আর যেসব এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ আছে, সেই বাঁধের ভেতরে এখনো পানি না ঢুকলেও বাধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷

সাধারণভাবে প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ২৬,০০০ বর্গ কিমি অঞ্চল, অর্থাৎ ১৮ শতাংশ ভূখণ্ড বন্যা কবলিত৷ ব্যাপকভাবে বন্যা হলে দেশের ৫৫ শতাংশের বেশি ভূখণ্ড বন্যার কবলে পড়ে৷ এবার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাতে কমপক্ষে ৭০ ভাগ একায় বন্যার কবলে পড়বে৷

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং নদী ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্লোবাল ফ্লাড এওয়ারসেন সিস্টেম-এর (গ্লোফাস) তথ্য বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্যার কবলে পড়তে যাচ্ছে৷ ১৫ তারিখের পরে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে৷ এই নদী দিয়ে এখন ২০ লাখ কিউসেক পানি প্রবাহিত হচ্ছে৷ আরো ৮-১০ দিন এই প্রবাহ থাকবে৷ কারণ পানি আসছে অসম-অরুণাচল থেকে৷ গঙ্গা বিপদসীমার নীচে থাকলেও নেপালে বৃষ্টির কারণে সেটাও বাড়ছে৷ গঙ্গা, যমুনা ও মেঘনার প্রবাহ যদি একসঙ্গে হয় তাহলে দেশের মধ্যাঞ্চলের জন্যও মহাবিপদ, যা ১৯৮৮ সালে হয়েছিল৷ এর সঙ্গে ২১ আগস্ট অমাবস্যা৷ আর যদি কোনোভাবে সাইক্লোন যুক্ত হয়, তাহলে আসলেই মহাবিপদ আছে সামনে৷

এদিকে বন্যা দুর্গতরা খাদ্য এবং পানীয় জলের সংকটে পড়েছেন৷ আছে আশ্রয়ের সংকটও৷ তবে ত্রাণমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘এরইমধ্যে দশ হাজার মেট্রিক টন চাল, তিন কোটি ১০ লাখ টাকা এবং ৬০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷” তিনি আরো বলেন, ‘‘যত বড় বন্যাই হোক মোকাবেলার প্রস্তুতি আমাদের আছে৷”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

বড় বন্যার আতঙ্কে বাংলাদেশ, মারা গেছেন ২০ জন

আপডেট টাইম : ০৫:০৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসনে চৌধুরী মায়া সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘‘এখন পর্যন্ত দেশের ২০টি জেলার ৫৬টি উপজেলা বন্যা কবলিত৷ বন্যায় সারাদেশে মারা গেছেন ২০ জন,  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৬ লাখ মানুষ৷ এছাড়াও উত্তরাঞ্চলরে বন্যার পানি মধ্যাঞ্চল দিয়ে প্রবাহতি হয়ে সাগরে নেমে যাবে৷ ফলে ঢাকার নিম্নাঞ্চলসহ আরও ৯টি জলোয় বন্যার আশঙ্কা আছে৷”

তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘১৯৮৮ সালরে চেয়ে বড় বন্যা হলেও মোকাবেলার প্রস্তুতি আছে সরকারের৷”

১৯৮৮ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বন্যায় বাংলাদেশের প্রায় ৮২,০০০ বর্গ কিমি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যা সমগ্র বাংলাদেশের ৬০ ভাগ এলকারও বেশি৷ ঐ বন্যায় রাজধানী ঢাকাও প্লাবিত হয়৷ সে সময় ঐ বন্যার স্থায়িত্ব ছিল ১৫ থেকে ২০ দিন৷

বন্যা পূর্বাভাষ কেন্দ্র সোমবার জানায়, ‘‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদী বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে সর্বোচ্চ পানি সমতল অতিক্রম করবে এবং চিলমারি পয়েন্টে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করবে৷”

বন্যা পূর্বাভাষ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, ‘‘দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর অববাহিকারবন্যা পরিস্থিতি অবনতিশীলথাকবে৷ব্রহ্মপুত্র-যমুনার বাংলাদেশ অংশে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধির হার ৪৭ সেমি৷ ফলে নুনখাওয়া, চিলমারি, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি এবং সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে সোমবার সকাল ৯টায় বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে৷” পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার ভিতরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভারত অংশে সর্বোচ্চ ২৫ সেমি পানি বৃদ্ধি পেলেও, বাংলাদেশ অংশে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৪৫ সেমি পযন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে৷’

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘পানি ওঠায় পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নেত্রকোনায় সহস্রাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে৷ নীলফামারীর সৈয়দপুর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুরের বদরগঞ্জে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে৷ মহাসড়কে পানি ওঠায় ঢাকা-দিনাজপুর সরাসরি পথে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে৷ এছাড়া লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে তিনটি পথে রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে৷ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উত্তরাঞ্চলে তিন প্লাটুন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷ তাঁরা উদ্ধার ও বাঁধ রক্ষার কাজ করছেন ৷ ১৫ তারিখের পরে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে’

বাংলা দৈনিক প্রথম আলোর খবরে আরো বলা হয়, ‘দ্য ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টসের (ইসিএমডব্লিউএফ) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে হিমালয়ের দক্ষিণাঞ্চলে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে৷ এতে করে ব্রহ্মপুত্রের ভারত ও বাংলাদেশ অংশে পানি বাড়বে৷’

এদিকে বন্যা কবলিত অনেক জেলার সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে৷ কুড়িগ্রামে ভেসে গেছে রেল সেতু৷ গত জুনের বন্যায় উত্তরের যেসব জেলা প্লাবিত হয়েছিল এবার সেই জেলা এরইমধ্যে আবারো বন্যার কবলে পড়েছে৷ আর যেসব এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ আছে, সেই বাঁধের ভেতরে এখনো পানি না ঢুকলেও বাধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷

সাধারণভাবে প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ২৬,০০০ বর্গ কিমি অঞ্চল, অর্থাৎ ১৮ শতাংশ ভূখণ্ড বন্যা কবলিত৷ ব্যাপকভাবে বন্যা হলে দেশের ৫৫ শতাংশের বেশি ভূখণ্ড বন্যার কবলে পড়ে৷ এবার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাতে কমপক্ষে ৭০ ভাগ একায় বন্যার কবলে পড়বে৷

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং নদী ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্লোবাল ফ্লাড এওয়ারসেন সিস্টেম-এর (গ্লোফাস) তথ্য বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্যার কবলে পড়তে যাচ্ছে৷ ১৫ তারিখের পরে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে৷ এই নদী দিয়ে এখন ২০ লাখ কিউসেক পানি প্রবাহিত হচ্ছে৷ আরো ৮-১০ দিন এই প্রবাহ থাকবে৷ কারণ পানি আসছে অসম-অরুণাচল থেকে৷ গঙ্গা বিপদসীমার নীচে থাকলেও নেপালে বৃষ্টির কারণে সেটাও বাড়ছে৷ গঙ্গা, যমুনা ও মেঘনার প্রবাহ যদি একসঙ্গে হয় তাহলে দেশের মধ্যাঞ্চলের জন্যও মহাবিপদ, যা ১৯৮৮ সালে হয়েছিল৷ এর সঙ্গে ২১ আগস্ট অমাবস্যা৷ আর যদি কোনোভাবে সাইক্লোন যুক্ত হয়, তাহলে আসলেই মহাবিপদ আছে সামনে৷

এদিকে বন্যা দুর্গতরা খাদ্য এবং পানীয় জলের সংকটে পড়েছেন৷ আছে আশ্রয়ের সংকটও৷ তবে ত্রাণমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘এরইমধ্যে দশ হাজার মেট্রিক টন চাল, তিন কোটি ১০ লাখ টাকা এবং ৬০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷” তিনি আরো বলেন, ‘‘যত বড় বন্যাই হোক মোকাবেলার প্রস্তুতি আমাদের আছে৷”